২ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যজুড়ে যেসব বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন, মূলত তাঁদের জন্য ছিল সোমবারের কর্মসূচি। তার অন্যতম হিসাবে রানি রাসমণি রোডে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে রাজ্য বিজেপি। এখান থেকেই মিছিল করে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
সেখানে রাজ্যপাল শহিদ পরিবারের অনেক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা রাজ্যপালকে জানান।
পরে রাজ্যপাল বলেন, ভোটের পরেই হিংসা, তাণ্ডব। হিংসার কোনও সমাধান নেই। ভোটের পর ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছি। আমার মন দুঃখিত, মন বিচলিত। আশা করা যায়, কোনও ভেদাভেদ না করে সঠিক বিচার প্রদান করা হবে। রামপুরহাটে কয়েক ঘণ্টায় ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহযোগিতা ও চাকরি দেওয়া হয়েছে আক্রান্ত পরিবারগুলিকে। কিন্তু ভেদাভেদ কেন? শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও দেওয়া হোক আর্থিক সহযোগিতা। আমি এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছি, শাসন ব্যবস্থা সবার জন্য সমান। রাজনীতির ওপরে ওঠা হোক, সকলের প্রতি একরকম নজর হওয়া উচিত, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপাল তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত হয়েছেন। তিনিই যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবেন।
এদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এদিন সমালোচনায় বিঁধেছেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, রাজভবনকে রঙ্গমঞ্চে পরিণত করেছে বিজেপি। রাজ্যপাল কেন এসব বরদাস্ত করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শুভেন্দুও।