শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিভাগের চাকরিপ্রার্থীদের (Teachers Recruitment) আন্দোলন চলাকালীন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার (Attempted Suicide) চেষ্টা করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিসি, সাউথ (DC South)। তাঁর সামনেই এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই তা অন্য মাত্রা পায়। যদিও সবার প্রচেষ্টায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি সুস্থ আছেন বলেই জানা গিয়েছে।
শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিভাগের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে আইনি কোনও জটিলতা নেই। নেই আদালতে কোনও মামলা। তবুও নিয়োগ করা হয়নি তাঁদের। কলকাতার (kolkata) রাজপথে এখনও হবু শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যহত। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় গান্ধীমূর্তির (gandhi murti) পাদদেশে। ঘটনাস্থলে পুলিস আসতেই অশান্তি শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। তীব্র বাদানুবাদ কাউন্সিলর সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) সঙ্গে পুলিসের। ঘটনাস্থলে আসেন ডিসি সাউথ (DC South)।
জানা যায়, তাঁবু খাটানোর জন্য কাউন্সিলর সজল ঘোষের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছিল কিছু বাঁশ। সেই বাঁশ নিতে গেলে পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিস বাধা দেয়। ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন পুলিসকর্মীর গায়ে বাঁশ লাগে। আহত (injured) হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরাও। ঘটনার পর কার্যত আক্রমণাত্মক পুলিসকর্মীরা। এরপরই সজল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ। এরপরই ওই চত্বর খালি করে দেওয়া হয় পুলিসের তরফ থেকে।
পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাঁশ দিয়ে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল এখানে। সেই নির্মাণ করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছিলেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সেই কারণে সজল ঘোষকে গ্রেফতার এবং চাকরিপ্রার্থীদের আটক করা হয়েছে। একজন মহিলা চাকরিপ্রার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেই কারণে সকলকে এই মুহূর্তে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর, অবস্থান মঞ্চে খাটানো ত্রিপল এবং বাঁশ ভেঙে দেয় পুলিস।
আদালতের নির্দেশে অবস্থানে বসেছিলেন এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরে পুলিস কীভাবে তাঁদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিতে পারে? তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে।