কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার একাধিক জায়গায় হানা দিল ইডি। সূত্রের খবর, ইডির ৫টি আলাদা দল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয়। বেলঘরিয়ায় অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।
এদিন রথতলা এলাকার অভিজাত আবাসনে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। বেলঘরিয়ায় অভিজাত আবাসন ক্লাব টাউনের নয়তলায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। আবাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে চাবির খোঁজ করেন তাঁরা, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল। চাবি না মেলায় ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা।
অর্পিতার মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন ইডি আধিকারিকরা। (ইনসেটে দেখুন অর্পিতার ক্লাব টাউন আবাসনের বাড়ির ছবি)।
ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, ওই একই আবাসনের অন্য একটি ব্লকে আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার। সূত্রের খবর, বুধবার আরও কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার টালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করে ইডি। তদন্তে জানা যায়, আরও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার নামে। তার মধ্যেই একটি ফ্ল্যাটে বুধবার হানা দিল ইডি। পাশাপাশি অর্পিতার বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ায় পৈতৃক বাড়িতেও ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছে যান। সেই বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এছাড়াও, ৮ ইস্ট বালিগঞ্জ প্লেসে একটি বাড়িতে ইডির ৮ জন আধিকারিক হানা দেয়। খবর সংগ্রহ করার সময়ই এই বাড়িতে মনোজ জৈন নামে এক ব্যক্তির নামে পার্সেল আসে। তবে তাকে না পেয়ে পার্সেল ফিরিয়ে নিয়ে যায় কুরিয়র সংস্থা। যদিও এটি কার বাড়ি, এখনও জানা যায়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সেই সমস্ত জায়গায় ইডি হানা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।