রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) সংক্রান্ত মামলার সমাধান আজও হল না। সময় চাইল রাজ্য। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ডিএ মামলা ফের হাইকোর্টে (Highcourt) বিচারাধীন। চলতি সপ্তাহের শুনানির সম্ভাবনা।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরাকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ২০১৬ সালে তাঁরা মামলাটি করেছিলেন। আজ ২০২২। এই ছ'বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেকটা জল গড়িয়েছে। ট্রাইবুনাল থেকে হাইকোর্ট। আবার হাইকোর্ট থেকে ট্রাইবুনাল। রাজ্য সরকার এই মামলায় হার নিশ্চিত জেনে কেবল সময় নষ্ট করছে। সরকার যতটা আগ্রহী লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা দিতে, যতটা আগ্রহী বারোয়ারি পুজোর ক্লাবগুলিকে টাকা করে দিতে, এবং বিভিন্ন খেলে-মেলা খাতে টাকা খরচ করতে, ততটাই উদাসীন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র টাকা নিয়েই সরকার বিভিন্ন জায়গায় খরচ করছে। এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ৩% ডিএ-র উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার চাইছে না আর ১ কিস্তিও ডিএ বাড়াতে।
তিনি আরও বলেন, মামলা তাঁরা চালিয়ে যাবেন। সরকার বাধ্য হবে ডিএ বাড়াতে। হাইকোর্টের রায়কে তো আর অবমাননা করতে পারেন না। ভারতবর্ষের কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না, সরকারি ডিএ মামলা ছ'বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা ওঠেনি। তাতেই এত বছর ধরে আটকে রয়েছে মামলা। রাজ্যের তরফ থেকে নানারকম যুক্তি দিয়ে মামলা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর।