অর্পিতাকে (Arpita Mukherjee) বাড়তি নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের (Alipur Woman Correctional Home) ২ নম্বর ঘরে। এতদিন ভালো ব্যবহারকারী বন্দি, যাঁরা সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ড দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের কাছে বিউটিশিয়ানের পাঠ নিতেন এবং টেলারিংয়ের কাজ করেন, তাঁদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে জেলের এই ঘরে রাখা হত। সূত্রের খবর, সেখানেই রাখা হয়েছে অর্পিতাকে।
জেলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতা কাল রাতে জেলে ঢুকে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি (Crying) করেন। রাতে খাবার (Dinner) দেওয়া হলেও খাননি। আজ সকালে অবশ্য চা-বিস্কুট খেয়েছেন।
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসছেন শুনেই তৎপরতা বেড়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল বিভিন্ন এলাকা। প্রথমে হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে মূলত ভিভিআইপিরা থাকেন। সেখান থেকে রাতের দিকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের পয়লা ২২ কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মিনারেল ওয়াটার চান। তাঁর জন্য কাল এক লিটারের এক ক্রেট মিনারেল ওয়াটার আনা হয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, তাঁকে মেঝেতেই কম্বল পেতে শুতে হবে। কিন্তু পরে লোহার ফোল্ডিং খাটের ওপর একটি তোষক বিছিয়ে শুতে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর জন্য দুটি বালিশ আনা হয়েছে। একটি মাথার, অন্যটি পাশ বালিশ।
রাতে স্বাভাবিক বিশ্রামেই কাটিয়েছেন পার্থ। রুটি, ডাল, সবজি খেয়েছেন অল্প পরিমাণে।
দুটি কম্বল দেওয়া হয়েছিল, পেতেই শুয়েছেন এবং ওষুধ খেয়েছেন সময় করে।