ফের দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে। মা ফ্লাইওভারে চিনামাঞ্জায় নাক কাটল এক মহিলার। মা উড়ালপুল ধরে বিশ্বকর্মা বিল্ডিং থেকে রুবির দিকে স্কুটিতে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন আরোহী এক মহিলা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার চিনা মাঞ্জার কারণে জখম হয়েছিলেন অনেকেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর, চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছিলেন যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট রূপম দাস। রবিবার ডিউটিতে যোগদান করতে যাওয়ার সময় আচমকাই ছিটকে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনি।
গত বছর ১৫ অগাস্ট, হাওড়ার পিলখানার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। হাওড়া থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন। হঠাৎ গলায় চিনা মাঞ্জার সুতো জড়িয়ে যায়, আহত হন তিনি।
ওইদিনই, দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে নিমতা মাঝেরহাট এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন একজন ডেলিভারি বয়। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই ঘুড়ির মাঞ্জা আটকে যায় গলায়। আহত হন তিনি।
১ জুলাই, সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। এজেসি বোস রোডের কানেক্টরের কাছে বাইকের চাকায় জড়িয়ে যায় মাঞ্জা। বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তাঁরা।
এইসব ঘটে যাওয়া ঘটনা একাধিকবার সামনে নিয়ে আসা হয়েছে পুলিস প্রশাসনের। প্রশাসনের তরফ থেকে মিলেছে সমাধানের প্রতিশ্রুতি। তাও কমছে না চিনা মাঞ্জার দাপট। কিন্তু কেন? প্রতিদিন বহু মানুষকে কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে? চিনা মাঞ্জার দৌরাত্ম্য থেকে কবে মুক্তি পাবেন শহরবাসী? প্রশ্ন থাকছে, উত্তর অধরা।