Share this link via
Or copy link
ব্যারাকপুর (Barrackpore) যেন সিনেমার মির্জাপুর (Mirzapore)। ঠিক যেমন মির্জাপুর সিনেমাটিতে খুন কোনও বড় বিষয় নয়, কখনও রাস্তায়, কখনও বাড়ি ঢুকে খুন হচ্ছে, কখনও বা দোকানে ঢুকে খুন। ঠিক যেমনটা ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় ৪০ ঘণ্টা পার, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সানি নামক এক অভিযুক্তকে (Accused) হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডির টিম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিস স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পুলিসকে ভাবাচ্ছে দুষ্কৃতীদের ডাকাতির ধরন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক গোয়েন্দা আধিকারিকের মতে, দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য নীলাদ্রিকে খুন করাও হতে পারে। যদিও সেটা স্পষ্ট হবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর।
বুধবার সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রির দুস্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত আরও দুই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুন সিংয়ের দাবি পুলিস তাঁর ভূমিকা সঠিক ভাবে পালন করছে না। পুলিসের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্জুন বলেন, '৪০ কেজি ভুরি নিয়ে হাঁটাচলা করতে পারে না, তাঁরা আবার ডাকাত ধরবে।' শুধু সাংসদ নয়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রাও ও মৃতের বাবা অর্থাৎ ওই সোনার দোকান মালিক।
সোনার দোকানে খুনের ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট অফিসের দূরত্ব ১.৫ কিমি, টিটাগড় থানার দূরত্ব ৩.৩ কিমি, এছাড়া রহড়া থানার দূরত্ব ২.৮ কিমি। এছাড়া ব্যারাকপুর স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এ অবস্থায় বিশেষ জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা কিভাবে ঘটল? প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।