সিদ্দিক গাজিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের।এবার এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি মামলার দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আর তাঁর এজলাসে শুরুতেই চাকরি বাতিল হয় এই শিক্ষকের। এসএসসি সংক্রান্ত মামলাগুলি এতদিন দেখে এসেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব বণ্টনে কিছু পরিবর্তন আনেন। তাতে এসএসসি-র নতুন মামলাগুলি শুনবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ওইদিনই ছিল প্রথম শুনানি। নবম-দশম শ্রেণির গণিতের শিক্ষক সিদ্দিক গাজি। মেধাতালিকায় ২০০ নম্বরে থেকেও যেখানে এক প্রার্থীর চাকরির শিকে ছেঁড়েনি, সেখানে তিনি চাকরি পেয়েছেন মেধাতালিকায় ২৭৫ নম্বরে থেকে। সেই কারণেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চাকরি বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল। সেখানেই পুরো মামলাটিই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আর্জি জানান, যেহেতু সব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এখানেও সিবিআইকেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
সরকারি আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, গাজিকে কেন বেশি র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেটাই এই মামলার বিষয়। কিন্তু গাজির চাকরির সাথে একটা মামলা জড়িয়ে রয়েছে। গাজির চাকরি ভুলভাবে দেওয়া হয়েছিল এবং সেটা ইতিমধ্যে ১৭ মার্চ বাতিল করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রুল অনুযায়ী।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, পুনরায় তাকে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি তো? সম্রাট সেন বলেন, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এরপরই বিচারপতি বলেন, ১৭ মার্চ ২০২২ তার চাকরি বাতিল করা হলেও মামলাকারীকে সেটা জানানা হয়নি কেন, তা আদালতের বোধ্যগম্য নয়। ২০১৬ সালের গ্রুপ-সি, ডি ও শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব বিষয়েই সিবিআই তদন্ত চলছে। সেই কারণে সিবিআইয়ের হাতে সিদ্দিক গাজির সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।