Share this link via
Or copy link
ফের নজির আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (R. G. Kar Medical College and Hospital)। কী এমন করেছেন চিকিৎসকরা? তুবড়ি বাজি ফাটাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়ে বসেছিলেন বরানগরের (Baranagar) আলমবাজারের বাসিন্দা পেশায় ভ্যানচালক সুমন অধিকারী (Suman Adhikari)। বাড়িতে বাজি ফাটাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ তুবড়ি তাঁর বাঁ হাতে ফেটে যায়। এতে ওই হাতের কনুইয়ের উপরে স্প্লিন্টার ইনজুরি হয়।
এরপর পরিবারের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যান বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে বড় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তখন তাঁকে নিয়ে আসা হয় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই হাসপাতালে নিয়ে আসার পর, জেনারেল সার্জারি, ভাস্কুলার সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা দেখেন।
বাইরে থেকে তেমন কোনও ক্ষত না তৈরি হলেও, ভিতর থেকে ৬ ইঞ্চি ব্লাস্ট ওয়েব তৈরি হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলেন, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হচ্ছে। আর্টারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর। এরপর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর পা থেকে শিরা কেটে ক্ষতিগ্রস্ত আর্টারিকে রিপ্লেস করা হবে। সেই মতো শিরা প্রতিস্থাপন করা হয়। আর এই চিকিৎসা কার্যত ম্যাজিকের মত কাজ করেছে। বর্তমানে ওই রোগী স্বাভাবিকভাবে আর পাঁচটা মানুষের মত হাত নাড়তে পারছেন। কোনও ধরনের অসুবিধা নেই তাঁর।
চিকিৎসকরা জানান, আর যদি ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, তাহলে হাত কেটে বাদ দিতে হতো সুমন অধিকারীর। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াতেই এত বড় অস্ত্রোপচার সাফল্য হয়েছে। এককথায়, অসাধ্য সাধন করেছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।