Share this link via
Or copy link
পরপর পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরকে (KKR) জেতানো হোক বা বিদায় জেনেও চোয়াল চাপা লড়াই, ২৫ বছরের রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ফের হৃদয় জিতলেন। ঘরের মাঠে শনিবার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন নাইটদের। রিঙ্কুর হার না মানা লড়াই বলছিল, এই ম্যাচটা জেতা উচিত কলকাতার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হল না। শেষ ম্যাচটা রাঙাতে না পারলেও মন জয় করে নিলেন রিঙ্কু। ২০২৩ আইপিএল থেকে ফের শূন্য হাতে ফিরল কেকেআর। তবে চলতি মরসুমে দলটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আলিগড়ের রিঙ্কু। আইপিএলের বিপক্ষের টিমগুলিও তা এককথায় মেনে নিচ্ছে। কেকেআরের বিদায় ও লখনউয়ের জয় সত্ত্বেও সবার মুখে রিঙ্কুর নাম।
ম্যাচের ১৯ ওভারে লখনউয়ের পেসার নবীন উল হককে কার্যত মাটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনটি চার ও একটি ছয়। শেষ ২ বলে ১২ রানের প্রয়োজন ছিল। রিঙ্কু থাকলে সবই সম্ভব, ধরে নিয়ে গোটা ইডেনের গ্যালারি রিঙ্কুর নামে ধ্বনি দিল। বিপক্ষের স্নায়ুর চাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে শেষমেশ হার মানলেন। কী মনে হচ্ছিল তখন? ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, 'পাঁচ ছক্কার ম্যাচটার কথা মনে পড়ছিল। আমি একেবারে রিল্যাক্স মুডে ছিলাম। যা হবে দেখা যাবে। শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল। ১টা বলে চার হয়।' তিনি আরও বলেন,' শেষ ইনিংসটার (গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে) পর লোকে আমাকে চিনতে শুরু করেছে। পাঁচটি ছয় হাঁকানোর পর প্রচুর সম্মান পেয়েছি। আজও তেমনটা হলে খুব ভালো হত।' ৩৩ বলে ৬৭ রান। নিজের ইনিংসে খুশি। তবে ম্যাচ না জেতায় বেশি আনন্দের বহিঃপ্রকাশ চাইছেন না রিঙ্কু।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, রিঙ্কুর ব্যাট নিয়ে টানাটানি করছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ওপেনার করণ শর্মা। তিনিও উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। তাঁর নেতৃত্বে খেলেন রিঙ্কু। ব্যাট নিয়ে টানাটানি করায় রেগে যাচ্ছিলেন রিঙ্কু। কী ঘটেছিল তখন? রিঙ্কু বললেন, 'ও আমার কাছে ব্যাট চাইছিল। আমি বললাম, এই ব্যাট দিয়েই তো আমি রান করেছি। আমার লাকি ব্যাটও বলতে পারেন।