বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ঘুড়ির লড়াই। ছোট থেকে বড়, সকলেই অংশগ্রহণ করেন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায়। বাংলায় যেমন বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ধুম পড়ে ঘুড়ি ওড়ানোর, তেমনি শ্রীলঙ্কার 'থাই পোঙ্গল' উৎসব। আর এই উৎসব ঘিরে যে কত ঘটনা ঘটে যায়, তা নেটপাড়ায় উঁকি মারলেই দেখতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। ভিডিও দেখার পর নেটাগরিকদের একপ্রকার চক্ষু চড়কগাছ। এও সম্ভব! ঘুড়ির সুতোয় উড়ছেন এক ব্যক্তি।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি মাটি থেকে অনেকটাই ওপরে ঘুড়ির সুতো ধরে হাওয়াতে উড়ছেন। প্রাণ হাতে নিয়ে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ে যাচ্ছেন ব্যক্তিটি। নীচে দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুরা। সকলেই যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তা স্পষ্ট। ব্যক্তিটি দড়ির সুতো বেয়ে নেমে আসার চেষ্টা করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে মাটিতে আছড়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান তার সঙ্গীরা। মাটিতে পড়ে তাঁকে কাতরাতেও দেখা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলঙ্কার জাফনা জেলার পয়েন্ট পেড্রো এলাকায়। নতুন বছরের প্রথম মাসেই অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি শুরু হবে'থাই পোঙ্গল' উৎসব। তার আগে থেকেই গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়ে সকল বয়সী মানুষ ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ উপভোগ করছেন। কিন্তু এই আনন্দই হয়ে উঠল এক ব্যক্তির কাছে নিরানন্দ। কয়েক মিনিট দুঃস্বপ্নের মধ্যে চলে গিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, ৩০ ফুট উঁচুতে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যায় ঘুড়িটি। ওই ব্যক্তির নাম মনমোহন।
উল্লেখ্য, বাংলায় যে ঘুড়ি তৈরি হয়, তা কাগজের। তবে বর্তমানে প্লাস্টিকেরও দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ঘুড়িগুলি অন্যরকম। আকারে অনেকটা বড়, রঙিন এবং থিমযুক্ত। আর সেই ঘুড়ি ওড়ানো হয় পাটের দড়ি দিয়ে। একা কারোর পক্ষে সম্ভব হয় না এই ঘুড়ি ওড়ানোর। কয়েকজন মিলে ওড়ায় এই ঘুড়ি। ওইদিনও কয়েকজন মিলে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। হঠাৎ দমকা হাওয়া এলে সকলে দড়ি ছেড়ে দিলেও ওই ব্যক্তিটি দড়ি ছাড়েননি। ফলে ঘুড়ির টানে মাটি থেকে ধীরে ধীরে ওপরে উঠে যান তিনি।