সৌমিত্র দত্ত, কলকাতার শিক্ষা না থাকলেও দেশে ও বিদেশে প্রভূত শিক্ষা লাভ করে এবং শিক্ষকতা করে আজ বিদেশে সম্মান পেলেন এবং যে সে সম্মান নয় একবারে ডাক পেলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড. সৌমিত্র দত্তর জন্ম চণ্ডীগড়ে বলেই শোনা যায়। ছোট থেকে অত্যন্ত মেধাবী হিসাবে খ্যাতি। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার পর দিল্লির আইআইটি থেকে বি টেক করেন। বিষয় ছিল ইলেক্ট্রিকাল ও কমিপিউটার সায়েন্স। এরপর বিদেশ যাত্রা, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বার্কলে থেকে এমএস ও পিএইচডি পূর্ণ করেন যথেষ্ট আকর্ষণীয় ফলাফল নিয়ে। নানান দেশ থেকে আমন্ত্রণ ছিল কারিগরি শিক্ষাকে কি করে অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে কাজে লাগানো যায় ।সৌমিত্রবাবুর বিশেষ বিষয় ছিল অর্থনীতি ও বাণিজ্যের অগ্রগতি।
পরবর্তী শিক্ষার বিষয়গুলিই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বাণিজ্যনগরী নিউয়র্কের জনসন কর্নেল কলেজ অফ বিজনেসে অধ্যাপনা করেন। এরই মধ্যে এসে গেলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ। সৌমিত্রবাবুর স্ত্রী বিদেশিনী এবং তাঁর কাজের একপ্রকার সঙ্গী। লুই ক্যাসানোভা। তাঁদের একমাত্র কন্যা সারাও যথেষ্ট গুণী। তিনিও পিএইচডি করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই তিন জনের পরিবার সৌমিত্রবাবুর। কেউই সময়ে পান না একসাথে উইকেন্ড কাটানোর। সময় পেলে নিজেরাই রান্নাবান্না করে বা দীর্ঘদিনের জমা গল্প করে থাকেন।
স্বল্পভাষী সৌমিত্র দত্ত সুযোগ পেলেই দেশের বিষয় নিয়ে খবর জানতে চান। ছোটবেলার স্কুল জীবনের ঘটনা বা চণ্ডীগড়ের স্মৃতি থেকে বেরোতে পারেন না। দিল্লি আইআইটি তে তাঁর সহপাঠীদের বক্তব্য বেশ ইন্টারেস্টিং বন্ধু ছিলেন তিনি। বরাবরই তাঁর নাকি বাজেট থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতির প্রতি আগ্রহ ছিলই। এবারে সেই স্মৃতি সঙ্গে করেই ড. দত্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইদ বাণিজ্যিক স্কুলের নতুন প্রধান বা ডিন হতে চলেছেন। ১ জুন যোগ দিচ্ছেন বলেই খবর। এর আগে কোনও ভারতীয় এই সম্মান পান নি। তিনি দিল্লি থেকে ডিসিঙ্গুইস্ট আয়ালুমিনাস এওয়ার্ড পান এছাড়া ফেলো ( ২০১৭ ) ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি অ্যাওয়ার্ড পান।