দুর্নীতি মামলায় সদ্য নির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শেহবাজ শরিফকে ধরতে আদালতে গিয়েছে এফআইএ। এই দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম আছে শেহবাজ শরিফের ছেলে সুলেমান শেহবাজ এবং এক আত্মীয় হামজা শেহবাজের। এই দু'জনকেও তদন্তের স্বার্থে হেফাজতে চায় এফআইএ।
এদিকে, ইমরান খানকে সরিয়ে পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চাপে শেহবাজ শরিফ। কোর্টকে তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল, অর্থাৎ ১০ বছরের মধ্যে শরিফ পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে।
অপরদিকে, অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। তবে নাছোড়বান্দা ইমরান। তাঁর সমর্থকদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে উত্তাল পাকিস্তান। অভিযোগ অনাস্থা ভোটে ইমরান পদ হারানোর পর ভোট করানোর কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি নতুন সরকার। প্রতিবাদে ইসলামাবাদ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে এসেছেন ইমরান এবং তাঁর দল পিটিআই–এর কর্মী–সমর্থকরা। রুখে মরিয়া শরিফ সরকার। মোতায়েন করল পাক সেনা। তাদের হাতে এন্তার ক্ষমতা তুলে দিল।
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য শাহবাজ শরিফের সরকারকে ছয় দিন সময় দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় বুধবার। নাম ‘আজাদি মার্চ’। ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে এই হুঁশিয়ারি দেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
ইমরান এও জানিয়েছে, তাঁর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীক ডি-চকে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ চালিয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার।