শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মেনে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির আইনমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি তুয়াংকু জাফর টুইটে জানিয়েছেন, মারাত্মক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে বিকল্প শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। মালয়েশিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
এশিয়ার অন্যতম দেশ মালয়েশিয়ায় মোট ১১টি গুরুতর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই ১১টি অপরাধের মধ্যে যেমন রয়েছে মানবপাচার, অপহরণ, মাদক ব্যবসা ও তোলাবাজি। এই মুহুর্তে দেশটিতে ১৩০০-র বেশি আসামি মৃত্যুদণ্ডের সাজা মাথায় নিয়ে জেলে দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যে পাঁচশো জনের বেশি বিদেশি নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধীদের চরম শাস্তি না দিয়ে তাদের সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা। ২০১৮ সালেই দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল মালয়েশিয়া সরকার। যদিও ২০১৯ সালে সেই ঘোষণা থেকে খানিকটা পিছু হঠে জানায়, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড তোলা হবে। তার পরে তিন বছর কেটে গেলেও মৃত্যুদণ্ড তোলা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি সরকার।
বুধবারই অবশ্য মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সায় দেয় মন্ত্রিসভা। মালয়েশিয়ার আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সরকার সবার মানবাধিকার নিশ্চিত করার উপরে জোর দিচ্ছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করা হবে। মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প শাস্তি কী হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে।’