প্রতিষ্ঠানের তরফে তাঁর কাছে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। পদত্যাগ, আস্থা ভোট এবং নির্বাচন। সম্প্রতি এই দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে কে এই প্রতিষ্ঠান, খোলসা করেননি ইমরান। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা সেনাবাহিনীই প্রধানমন্ত্রীকে এই বিকল্প বেছে দিয়েছেন। এদিকে, রবিবার পাক সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি।
এদিকে, নতুন করে নির্বাচনেই আস্থা রেখেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, 'অনাস্থা ভোটের ফল আমার পক্ষে গেলেও এভাবে সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়। কারণ ইতিমধ্যে পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের একাধিক সাংসদ বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছে। তাই দেশের পক্ষে সুবিধাজনক যদি নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি তাঁকে খুন করা হতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইমরান খান। তিনি বলেছেন, 'আমার কাছে নিশ্চিত খবর আছে, আমার প্রাণহানি হতে পারে। তবু আমি আমার সংকল্প থেকে সরব না। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান গঠন করবই। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।'
অপরদিকে, সংসদে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারের স্বাধীন বিদেশ নীতিই বিশ্বের প্রভাবশালী মহলের একটি অংশের পছন্দ নয়। তাই বিরোধীদের কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত সরকারকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছে সেই অংশ। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।
তাঁর বক্তৃতায় ঘুরেফিরে এসেছে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ। পাশাপাশি ইংরেজরা কীভাবে মীরজাফরকে সিরাজদৌল্লার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল, সেই প্রসঙ্গ টানেন তিনি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীন বিদেশ নীতি ভারত-বিরোধী নয়। এই যুক্তি দিয়ে ইমরান খান বলেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে আমাদের বিদেশনীতি স্বাধীন হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা কারও শত্রু। তার মানে এই নয় যে, আমরা আমেরিকা-বিরোধী, ভারত-বিরোধী বা ইউরোপ-বিরোধী।'