সমগ্র বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। এই ভাইরাসের দাপটে বিশ্ব তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। চিনকে এই মহামারির কারণে প্রথম থেকেই দোষারোপ করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন তাবড় তাবড় নেতৃত্বরাও। কিন্তু সাম্প্রতিকালে হু-এর ডিরেক্টর টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস হঠাৎই দাবি করে বসেন, চিনের উহানের ল্যাবেই দুর্ঘটনাবশত করোনাভাইরাসের জন্ম হয়েছে। আর তা ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালের শেষ থেকেই ।
আচমকা কী এমন হল? তবে কি এ বিষয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন? উঠছে হাজার প্রশ্ন। জানা গিয়েছে ইউরোপের এক রাজনীতিবিদকে এ কথা জানিয়েছেন হু প্রধান। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, প্রথম নোভেল করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে দু'বছর কেটে গিয়েছে। ভাইরাসটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছিল সে বিষয়ে কোনও যথাযোগ্য প্রমাণ নেই। এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে তথ্য অনুসন্ধানের প্রয়োজন। চিনকেও এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ চিনে প্রথম করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছিল।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে বহুবার প্রকাশ্যে হু প্রধানকে চিনের উহান ল্যাব সংক্রান্ত সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি উল্টে গেল তাঁর বক্তব্য। কথোপকথনের মধ্যে বলে ওঠেন চিনের উহান ল্যাবেই জন্ম মারণ ভাইরাসের। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ অধ্যাপক Angus Dalgleish এবং নাভের বিজ্ঞানী Dr: Birger Sorensen কিছুদিন আগে এক গবেষণায় বলেছিল, ভাইরাসটি প্রস্তুত করার পরে চিনা বিজ্ঞানীরা এটিকে প্রযুক্তিগতভাবে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন, যা দেখে মনে হয় ভাইরাসটি বাদুড়ের থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, উহান ল্যাবে ডেটা ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টিকে লোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যখন দুজনেই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য করোনার নমুনাগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন, তখন ভাইরাসটিতে একটি 'বিশেষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট' পাওয়া গিয়েছে।