করোনায় কাবু গোটা বিশ্ব। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর একটু স্বস্তি মিললেও ফের তৃতীয় ঢেউয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বিশ্ববাসীর। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে মানুষের এখন ভরসা মাস্ক, স্যানিটাইজার। কেউ কেউ ৩ লেয়ারের মাস্ক পরছেন, আবার কেউ ৪ বা ২। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে সকলেই পরছেন মাস্ক। সরকার থেকে শুরু করে সমাজসেবী, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিনিয়ত মাস্ক পরার কথা বলছেন। কিন্তু স্বেচ্ছায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে চান? আবার তার জন্য টাকা ব্যয় করতেও রাজি। শুনেই কেমন ভ্রু কুঁচকে গেল, তাই না? তবে সম্প্রতি এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এক ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি করোনা পজিটিভ একজন মহিলার সঙ্গে পার্টি করতে চান। উদ্দেশ্য একটাই, পার্টি চলাকালীন মেয়েটি যেন তাঁকে করোনা পজিটিভ করে দেয়। অবশ্য তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রোমান্টিক সম্পর্কে যেতে চান না। এমন একটি মেয়েকে খুঁজছেন যে পার্টির সময় তাঁকে করোনা পজিটিভ করে দিতে পারবে।
এমনকি ওই ব্যক্তি একজন দালালের সাহায্য নিয়েছেন। যাতে তিনি তাঁর উদ্দেশ্য পূরণের জন্য উপযুক্ত মহিলা পেতে পারেন। তবে বিশেষ কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন তিনি। মহিলাকে প্রথমে তাঁর অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ দেখাতে হবে এবং তারপর তাঁকে করোনা পজিটিভ করতে হবে। এই কাজের জন্য ওই ব্যক্তি মহিলাটিকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার টাকা দিতেও প্রস্তুত। পাশাপাশি তিনি ওই দালালকে প্রায় ১৩০০ টাকাও দিচ্ছেন।
এই অদ্ভুৎ দাবি জানিয়ে ওই ব্যক্তি থাইল্যান্ডের একটি বিমা কোম্পানিতে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। বিমা কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনের মূল বিষয় রেখেছে করোনা। কেউ করোনার কবলে পড়লে তাকে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগে বিমা কোম্পানিগুলি এত তদন্ত করত না। কিন্তু এখন বিমা সংস্থার কর্মীরা টাকা দেওয়ার পূর্বে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখেন। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য থাইল্যান্ডে এখন অনেকেই করোনা আক্রান্ত হতে চাইছেন। সেই ব্যক্তিও এখন বিমার টাকা পাওয়ার লোভে করোনা আক্রান্ত হতে চাইছেন।