ফের ভারতীয় কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ উঠল চিনা সেনার বিরুদ্ধে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে এক ভারতীয় কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাংসদ তাপির গাঁও। ওই অপহৃত কিশোরকে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা কথাবার্তা শুরু করেছে চিনা সেনার সঙ্গে।
জানা যাচ্ছে, ওই অপহৃত কিশোরের নাম মিরাম তারোন। অরুণাচল প্রদেশের জিদো গ্রামের বাসিন্দা মিরাম। মঙ্গলবার ওই বছর ১৭-এর কিশোরকে অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং জেলার লুংটা জোর এলাকা থেকে অপহণ করে পাবলিক লিবারেশন আর্মি। সেসময় মিরামের সঙ্গে তার বন্ধু জনি ইয়েইইংও ছিল। তারা দুজনে শিকারে বেরিয়েছিল বলে জানায় জনি। যদিও তাকেও চেষ্টা করা হয়েছিল অপহরণের। জনি হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে আসে। এসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অপহরণের কথা জানায়। তারপরই সামনে আসে বিষয়টি।
এদিন টুইট করেন সাংসদ তাপির গাঁও। তিনি টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারকে অপহৃত কিশোরকে ফেরত আনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন। পাশাপাশি তিনি অপহৃত কিশোরের ছবিও পোস্ট করেছেন। তিনি আরও লেখেন, ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নীতিশ প্রামাণিককেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং ভারতীয় সেনার নজরে এনেছেন ঘটনাটি।
1/2
— Tapir Gao (@TapirGao) January 19, 2022
Chinese #PLA has abducted Sh Miram Taron, 17 years of Zido vill. yesterday 18th Jan 2022 from inside Indian territory, Lungta Jor area (China built 3-4 kms road inside India in 2018) under Siyungla area (Bishing village) of Upper Siang dist, Arunachal Pradesh. pic.twitter.com/ecKzGfgjB7
উল্লেখ্য, ওই কিশোরের মুক্তির জন্য ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা তৎপর হয়েছে। শুরু হয়েছে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। প্রোটকল অনুযায়ী, পিএলএ অপহৃত কিশোরকে ফিরিয়ে দেবে বলে আশাবাদী ভারতীয় সেনা।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইট করে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ১৭ বছরের নাবালককে অপহরণ করল। তিনি মিরাম তারনের পরিবারের সঙ্গে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতাই তাঁর বক্তব্য।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চিনা সেনা ৫ ভারতীয় কিশোরকে অপহরণ করেছিল। অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবানিসিরি জেলা থেকেই তাদের অপহরণ করেছিল পিএলএ। এক সপ্তাহ পরে তাদের মুক্তি দেয় চিনা সেনা। এছাড়াও ২০১৮ সালে ওই এলাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছিল চিনা সেনা। সেবার কেন্দ্র সরকারের বিশেষ কোনও ভ্রুক্ষেপ লক্ষ্য করা না গেলেও এবার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই লক্ষণীয়।