অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। তবে নাছোড়বান্দা ইমরান। তাঁর সমর্থকদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে উত্তাল পাকিস্তান। অভিযোগ অনাস্থা ভোটে ইমরান পদ হারানোর পর ভোট করানোর কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি নতুন সরকার। প্রতিবাদে ইসলামাবাদ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে এসেছেন ইমরান এবং তাঁর দল পিটিআই–এর কর্মী–সমর্থকরা। রুখে মরিয়া শরিফ সরকার। মোতায়েন করল পাক সেনা। তাদের হাতে এন্তার ক্ষমতা তুলে দিল।
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য শাহবাজ শরিফের সরকারকে ছয় দিন সময় দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় বুধবার। নাম ‘আজাদি মার্চ’। ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে এই হুঁশিয়ারি দেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
ইমরান এও জানিয়েছে, তাঁর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীক ডি-চকে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ চালিয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার।
এদিকে বর্তমান সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট হাউস, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের বাসভবন প্রভৃতি সরকারি ইমারত রক্ষার জন্যই মোতায়েন হয়েছে সেনা। যদিও পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাদের মতে, সমস্ত মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার সেনা মোতায়েন করে খর্ব করছে নতুন পাক সরকার।