সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। ২০২২-এ এসে এই প্রবাদটা যেন ধীরে ধীরে মুছে যেতে শুরু করেছে। এখন সংসার মানেই স্বামী-স্ত্রীর হাতে হাতে কাজ। একসঙ্গে উপার্জন। একসঙ্গে পথ চলা। মোদ্দা কথা, সমস্ত দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়াটাই আধুনিক সুখী সংসারের দস্তুর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বামীর থেকে বেশি পরিশ্রম স্ত্রীকে করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো স্ত্রী সংসার সামলানোর পাশাপাশি বাইরেটাও সামলান। আর দেখা যায় স্বামীরা কিছুই করেন না।
এমনটাই ছিল এই সংসারেরও বাস্তব চিত্র। সারাদিন কাজ করেন স্ত্রী। আর পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকেন স্বামী। এমনকি ঘরের কোনও কাজেও সাহায্য করেন না। দীর্ঘদিন এভাবেই চলছিল। অবেশেষে সার্বিয়ার (Serbia Woman) মহিলা যা করলেন, তা অবাক করে দেওয়ারই মতো। জানা গিয়েছে, ১০ মে রাতে স্বামীকে খাবার বানানোর জন্য সাহায্য করতে বলেন মহিলা। কিন্তু স্বামী রাজি হননি। ব্যস তারপরেই ভয়ানক কাণ্ড ঘটান মহিলা।
টেরেসা নামে ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে খাবারে নেশার ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এরপর স্বামীকে ছুড়ি দিয়ে বার বার আঘাত করতে থাকেন। খুন করে ফেলেন স্বামীকে। শুধু তাই নয়, এর পর কুচি কুচি (Chopped off husband) করে কাটেন স্বামীর শরীর। এবং বড় কড়াইতে সেই মাংস রান্না (Cooked Meat) করে ফেলেন।
এই সময় বাড়িতেই ছিলেন মহিলার আগের পক্ষের মেয়ে। তিনি দেখে ফেলেন গোটা ঘটনা। পুলিশকে তিনিই সাক্ষী দেন যে তাঁর সৎ বাবাকে নিজের হাতে খুন করেছেন তাঁর মা। গোটা ঘটনার বর্ণনা ওই মহিলার মেয়েই দেন। আপাতত পুলিশি হেফাজতে মহিলা।
জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুন করে গোটা ঘটনা চাপা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মহিলা। কয়েকদিন আগেও একবার স্বামীকে মারার চেষ্টা করেছিলেন মহিলা! বিছানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার বেঁচে যান স্বামী। কিছু হয়নি। এবার আরও ভয়ানক কাণ্ড ঘটালেন তিনি। মহিলার মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তদন্ত!