একেই কি বলে ভবিতব্য? তাই বোধহয়। রাখে হরি মারে কে, আর মারে হরি রাখে কে, এই আপ্তবাক্যকে সত্যি প্রমাণ করে ভূমিষ্ঠ হল সে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগমকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন ময়মন সিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম। তারপরই ঘটল সেই মর্মন্তুদ দুর্ঘটনা। তাঁদের সঙ্গে ছিল ছয় বছরের মেয়ে সনজিদা। কিন্তু রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন তিন জন। আর দুর্ঘটনাস্থলে রত্নার পেটে ফেটে জন্ম হল এক শিশু কন্যার। অথচ ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল নবজাতকের মা, বাবা এবং বড় দিদির।বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই খবর মিলেছে।
বাংলাদেশের পুলিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল তিনটে নাগাদ আলট্রাসোনোগ্রাফি করার জন্য ত্রিশালার একটি বেসকরারি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। আলট্রাসনোগ্রাফি করার পর ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়ই কোর্ট ভবন এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়। রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। দুঘর্টনার পর অন্তঃসত্ত্বা রত্নার পেট ফেটে গিয়ে বেরিয়ে আসে শিশুকন্যাটি। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাতে আঘাত লাগলেও সুস্থ আছে নবজাতক। নবজাতকের চিকিৎসার জন্য রবিবার একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানা গেছে