স্বামীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়ায় বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছিল স্ত্রীর। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করবেন। সেইমতো দোকানেও যান বিষ (poison ) কিনতে। কিন্তু যেমন ভাবা, তেমন কাজ আর হয়নি। বাধ সাধলেন দোকানদার। ওই তরুণীর লক্ষণ খারাপ বুঝে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কী করতে চলেছেন তিনি। ওই তরুণী নিজের সিদ্ধান্তের কথা খুলে বলতেই মোড় ঘুরল গল্পের। দোকানদারের প্রেমে পড়লেন ওই তরুণী। সে প্রেমের জল অনেকদূর অবধি গড়িয়েছিল। দেখা-সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, ঘোরাফেরা। আরও গভীর ওই দুজনের সম্পর্ক। কিন্তু প্রেমিকা প্রেমিক দোকানদারকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করে দেন। এরপর প্রেমিককে রাজি করাতে শেষে অনশনে বসেছেন ওই প্রেমিকা। এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জে (Mirzaganj in Patuakhali)।
জানা গিয়েছে, ওই ২২ বছরের তরুণী এক সন্তানের মা। প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশনে বসেও কোনও সেরকম কোনও লাভ করতে পারেননি। শেষমেশ প্রেমিকের বাড়ির সামনেই বিষপান করেন সীমা। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এই যাত্রায়।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে সীমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর ২৫-এর শহিদুল্লার। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সংসারে অশান্তি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক দিন রাগ করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন সীমা। তাই রায়হানের দোকান থেকে তিনি বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাধা দিলে তাঁদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণতি হয়। তারপর স্বামীকে তালাকও দেন।
সীমার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেন রায়হান। এখন সেই প্রেমিকও তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। এর পরেই সীমা রায়হানের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন। কিন্তু তাতেও রায়হানের বাড়ির লোক বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায়, নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে আবার বিষ খান সীমা। আত্মীয়রা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।