পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছিল আমজনতার। কিছুদিন আগে উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে মোদী সরকার। আর তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে আম-জনতা। তবুও পেট্রোল-ডিজেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার অন্যতম কারণ ক্রুড অয়েলের দাম উর্ধ্বমুখী। যার ফলে ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম এখনও ১০০ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে।
কয়েক বছর ধরে আমেরিকায় বেড়ে চলেছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তবে সর্বোচ্চ দাম ছিল সোমবার। ১ গ্যালন তেলের দাম ৩.৪০৯ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৫৪ টাকা। যদিও কয়েক বছর আগে প্রতি গ্যালন তেলের দাম ছিল ২.১১ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫৭ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে পদক্ষেপ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার টুইটারে বাইডেন লেখেন, আমেরিকার বাসিন্দাদের জন্য তেল এবং গ্যাসের দাম কমাতে চলেছেন। আমেরিকাবাসীদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়বে শক্তিমন্ত্রক, যাতে তেল এবং গ্যাসের দাম কমানো যায়। তাতে অনেকটা স্বস্তি পেলেন আমেরিকাবাসী।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকার এই পদক্ষেপের জন্য ভারতে কি তেলের দাম কমবে? তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামীদিনে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম নিম্নমুখী হলে ভারতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।