আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে তা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে সমুদ্রের উপর। ওয়ার্ল্ড মেটিয়রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (World Meteorological Organization) বিজ্ঞানীদের মতে, ব্যাপক হারে সমুদ্রের (sea) প্রকৃতিগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উষ্ণতাবৃদ্ধি এবং অম্লত্বের জন্য সামুদ্রিক প্রাণীদের অস্তিত্বও সংকটাপন্ন। পেঙ্গুইন (penguin) থেকে সিল, সামুদ্রিক প্রবাল প্রাচীর থেকে সামুদ্রিক মাছ (fish) সমস্তই বিপদের মুখে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই উষ্ণায়নের ফলে হারিয়ে যাবে পেঙ্গুইনের একাধির প্রজাতিও। পাশাপাশি এর ফলে মানুষের উপরও ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।
ইউনাইটেড নেশনস-এর মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেস জানান, "জলবায়ুর বিপর্যয় মোকাবিলায় মানবতার চরম ব্যর্থতা হল ওডেস স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট রিপোর্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রের জলের তাপ বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব এবং সমুদ্রের জলের অম্লতা বৃদ্ধি- এই সবই ২০২১ সালে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা আগের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, হিমবাহের গলনের ফলে।" তবে হিমবাহের গলনের সঙ্গে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি যে পরবর্তীকালে স্থলভূমিতে উঠে এসে বহু এলাকা প্লাবিত করতে পারে, সে কথাও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বহু আগেই।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, গত এক দশকে হিমবাহের গলনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। একই সঙ্গে গত ২৬ হাজার বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সমুদ্রের জলের অম্লতার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। পরিবেশ থেকে ক্রমাগত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করাই সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির কারণ। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিকার করতে না পারলে গোটা প্রাণীজগতই চরম বিপদাপন্ন তবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।