দক্ষিণ ইউক্রেনের মস্কো অধিকৃত শহর খেরসন ও মারিউপোলের বাসিন্দাদের যুদ্ধ আবহের মধ্যেই রাশিয়ার পাসপোর্ট দিল রুশ সরকার। শনিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো খেরসনের ২৩ জন বাসিন্দার হাতে পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, গত মে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বাক্ষরিত 'সরলীকৃত পদ্ধতির' মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানে পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
আঞ্চলিক প্রশাসনের মস্কোপন্থী প্রধান ভ্লাদিমির সালদোকে উদ্ধৃত করে তাস বলেছে, খেরসনের সকল অধিবাসীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি পাসপোর্ট এবং (রাশিয়ান) নাগরিকত্ব পেতে চেয়েছিল। এটি একটি নতুন যুগ যা তাঁদের জন্য শুরু হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাসপোর্ট। তাই দ্রুত এর ব্যবস্থা করা হয়। পাশপাশি খেরসনে রাশিয়ার নিযুক্ত সামরিক গভর্নর ভলোদিমির সালদো বলেছেন, শহরটির বাসিন্দারা যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
খেরসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়া দিবসের কথা মাথায় রেখেই পাসপোর্ট বিতরণের সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ান সেনাবাহিনী ২৪ শে ফেব্রুয়ারি আক্রমণের শুরুতে খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ জয় করে নেয়।
ক্রেমলিনের ডিক্রিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের রাশিয়ান পাসপোর্ট প্রদানের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা মস্কোর বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নিকটবর্তী জাপোরিজহজিয়া অঞ্চলের সঙ্গেও জড়িত।
এদিকে পাসপোর্ট সরবরাহে রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন। রুশ পাসপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের বাসিন্দাদের রাশিয়ার নাগরিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করে সরকার। এও বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ করা হয়েছে।