চলমান অর্থনৈতিক সংকট (economic crisis) থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ফের ভারতমুখী। জ্বালানি আমদানির (fuel imports) জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের আবেদন জানিয়েছে ভারতের কাছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মিলিন্দা মোরাগোদা (Milinda Moragoda) গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Finance Minister Nirmala Sitharaman) সঙ্গে দেখা করার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম আর্থিক সংকটের (financial crisis) মুখোমুখি। কোভিড-১৯ মহামারির সময় পর্যটনের ওপর কড়াকড়ি আরোপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি। তার কারণে এই মন্দাকে দায়ী করেছে সরকার। এর ফলে দেশটি যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি কিনতে অক্ষম হয়ে পড়েছিল। মানুষ খাদ্য এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস গ্যাসের তীব্র অভাবের মুখোমুখি হচ্ছে।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজেল ও পেট্রোলের জন্য দ্বীপরাষ্ট্রটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার ভারত থেকে ঋণ নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শুক্রবার চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সমর্থন বাড়ানোর জন্য ভারতের প্রশংসা করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশও করেছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) রফতানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ১২টি জাহাজের (Shipments) মাধ্যমে মোট ৪ লক্ষ মেট্রিক টন (400,000 Metric Tones) জ্বালানি তেল পাঠিয়েছে ভারত। জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ (Medicine), অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ভারতের থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চেন্নাই (Chennai) থেকে ত্রাণসামগ্রী বোঝাই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠালেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। প্রথম ধাপে ছিল ৯,০০০ মেট্রিক টন চাল, ২০০ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ এবং ২৪ মেট্রিক টন জীবনদায়ী ওষুধ। যার মোট ভারতীয়মূল্য ৪৫ কোটি টাকা।
ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, আর্থিক সহায়তা, বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা, উপাদান সরবরাহ ইত্যাদির মতো একাধিক উপায়ে শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি ভারত সরকারের চলমান মানবিক সহায়তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে।