প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন দু'জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।
যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে বর্ষীয়ান এক রাজনীতিককে বড়সড় পদে এনেছিলেন জনসন। দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তিনি কিছুই জানতেন না। কিন্তু সম্প্রতি এক সরকারি মুখপাত্রই ফাঁস করে দেন যে জনসন মিথ্যাচার করেছেন। আর এ নিয়ে শোরগোল উঠতেই প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন দুই মন্ত্রী।
সুনাক তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, জনগণ আশা করেন, সরকার সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে পরিচালিত হবে। তিনি আরও বলেন, "আমি স্বীকার করি যে এটিই শেষ মন্ত্রীপদ হতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি যে এই মানদণ্ডগুলির জন্য লড়াই করা মূল্যবান এবং সেই কারণেই আমি পদত্যাগ করছি।"
জাভিদ বলেছেন, "আমরা (কনজারভেটিভ পার্টি) সবসময় জনপ্রিয় নাও হতে পারি। কিন্তু আমরা জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে পারদর্শী ছিলাম। দুঃখের বিষয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে, জনসাধারণ এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে আমরা আর পারদর্শী নই।"
গত মাসের আস্থার ভোটে দেখা গিয়েছে যে তাদের সহকর্মীদের একটি বড় অংশ এই বিষয় একমত। তিনি আরও বলেন, "আমি দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, এটা আমার কাছে স্পষ্ট, আপনার নেতৃত্বে এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হবে না এবং আপনি আমার আস্থাও হারিয়েছেন।"
এদিকে, রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ঋষি ও সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে।