ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অব্যাহত। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। রুশ আক্রমণে নিহত হয়েছেন বহু ইউক্রেনীয় সেনা এবং ইউক্রেনীয়রা। বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে শহর সিভিয়েরোডোনেৎস্ক। শহরটিকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে রুশ বাহিনী। পার্শ্ববর্তী শহরের সঙ্গে যোগাযোগের তিনটি সেতুর দুটি তারা ভেঙে দিয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের পালিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে সেকথা জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। সিভিয়েরোডোনেৎস্ক ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রেমলিনের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ডনবাসের কিছু অংশ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করছে, লুহানস্ক অঞ্চলের যে শহরটি ঘিরে গত কদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে, সেখানে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে তারা কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে।
ইউক্রেন যাতে সেখানে বাড়তি সৈন্য এবং রসদ পাঠাতে না পারে, সেজন্য রুশ বাহিনী সিভিয়েরোডোনেৎস্ক শহরের পশ্চিমে একটি নদীর ওপর সেতুগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন একজন ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি হাইদাই। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন সেখানে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তাতে রুশরা ভীত।
সিভিয়েরোডোনেৎস্ক-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে গত কয়েকদিন ধরে। শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশই রুশরা দখল করে নিয়েছিল। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা সেখান থেকে পিছু হটতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনীয় সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি শিল্প এলাকা। যেখানে শত শত সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
সেতু ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইদাই আরও বলেন, সেতুটি সিভিয়েরোডোনেৎস্ককে তার যমজ শহর লিসিচানস্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। সিভিয়েরোডোনেৎস্কের তিনটি সেতুর মধ্যে একটি বাকি আছে। যদি রাশিয়ানরা সেই সেতুটিও ভেঙে দেয়, তাহলে শহরটি একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গাড়িতে করে সিভিয়ারোডোনেৎস্ক ছেড়ে যাওয়ারও কোনও উপায় থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, শহরের এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি জায়গা এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাশিয়ার হাতে চলে গেছে।