আর্থিক অস্থিরতার কারণে চরম সঙ্কটে ডুবেছিল গোটা শ্রীলঙ্কা। সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশি সাংবিধানিক সঙ্কটও নেমে এসেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। চলতি সঙ্কটের মধ্যে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমেসিঙ্ঘে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোচাবায়া রাজাপক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন।
রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে বুধবার জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। হলও তাই। এই মুহূর্তে এই পড়শি দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে আনুষ্ঠানিকতার প্রশ্নও ওঠে না।
গত এপ্রিল মাস থেকে চরম অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। তখন থেকেই রাজাপক্ষেদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজপথে নেমেছেন বহু মানুষ। এই রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মাহিন্দা। তার পর থেকেই চরম নৈরাজ্য শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি।
মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের কড়া অবস্থানে ওই অরাজকতা খানিক থামলেও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছিল। তার মাঝেই নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। গোতাবায়া এ-ও বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কায় নতুন যে মন্ত্রিসভা গঠিত হবে, তাতে থাকবেন না কোনও রাজাপক্ষেই। এখন দেখার, কাদের নিয়ে তৈরি হয় শ্রীলঙ্কার নতুন মন্ত্রিসভা।