পেরু (Peru) প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট (President) পেল। ডিনা বোলুয়ার্তে (Dina Boluarte) হলেন দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট। পেদ্রো কাস্তিলোকে জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচ করার পরেই বুধবার প্রেসিডেন্টের পদে বসলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে পেদ্রো কাস্তিলো অবশ্য খুব বেশি দিন স্থায়ী হলেন না৷ ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দু’বার কাস্তিলোকে ইমপিচ করার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ বুধবার পেরুর এক সংবাদমাধ্যমে বিরোধী চালিত কংগ্রেসকে ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন কাস্তেলো। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। দেশে জরুরি অবস্থা চালু করার কথাও বলেছিলেন কাস্তিলো। বহু মন্ত্রী পদত্যাগ করেন এর প্রতিবাদে। পথে নামেন সাধারণ মানুষ। পুলিস সাধারণ মানুষের উপর লাঠিচার্জ শুরু হয়। এর পরেই জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচমেন্ট নির্বাচন করা হয় কংগ্রেসের তরফে। সেখানে তাঁকে ইমপিচ করার পক্ষে ভোট দেন ১০১ জন। এর বিরুদ্ধে ভোট পরে ছ’টি। এই ভোটদানের থেকে বিরত থাকেন ১০ জন।
৬০ বছরের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ বোলুয়ার্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মিনিস্টার অব ডেভেলপমেন্ট এবং সোশ্যাল ইনক্লুসন দায়িত্ব সামালতেন। দুই সপ্তাহ আগে তার সেই ক্ষমতা খর্ব করে দেন কাস্তিলো। অথচ কাস্তিলো সরকারের অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কাস্তিলো মন্ত্রিসভায় রদবদল আনার পর বোলুয়ার্তেকে জায়গা দেননি। তা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কাস্তিলোকে বিদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। এই নিয়ে তদন্তও চলেছে। গত জুলাইতে বোলুয়ার্তে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও কারণে কাস্তিলোকে অপসারণ করা হলে, তিনি দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তৈরি আছেন এবং ২০২৬ পর্যন্ত তিনি দেশের সরকার চালিয়েও যাবেন। তাঁর মতে, দেশের জনগণ পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এনেছেন। সেই দায়িত্ব পূরণ করা তাঁর কর্তব্য। আগামী চার বছর তিনি সেই লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে যাবেন। ক্ষমতায় এসে বোলুয়ার্তে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কাস্তিলোর ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল। তাই সেই সময় পর্যন্ত তিনিও ক্ষমতায় থাকবেন। বলেছেন, ‘‘দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বাচিয়ে আনতে আমি কিছুটা সময় আর সুযোগ চাই।’’