ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত এক বিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য। যাতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।
নতুন এই অর্থসহায়তায় কিয়েভে সামরিক খাতে ২.৩ বিলিয়ন দেওয়া হবে এবং ইউক্রেনের জন্য মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবে যুক্তরাজ্য। পাশপাশি তারা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ড্রোনও দিচ্ছে বলে খবর। ইউক্রেন যুদ্ধে আরও সহায়তা করার জন্য ন্যাটোর প্রতি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানের পরই যুক্তরাজ্য বুধবার এই ঘোষণা করে।
জেলেনস্কি ন্যাটোর নেতাদের বলেছিলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনের মাসিক প্রতিরক্ষা খরচ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার (৪.১২ বিলিয়ন পাউন্ড)। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার হাত বাড়ানোর দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয়। সহায়তাকারী প্রথম দেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, নতুন এই সহায়তার অর্থ খরচ হবে অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং গুরুত্বপূর্ণ কিট কেনায়। এই সরঞ্জামাদি রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারে প্রথম ধাপে সহায়তা করবে বলে তারা মনে করছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণগুলি "ক্রমবর্ধমান বর্বর" ছিল। যুক্তরাজ্যের অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ এই আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে অনেকটা সাহায্য করেছে। এবং পুতিন যাতে ব্যর্থ হয়, তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের জনগণের পাশে সর্বদা দাঁড়াবেন বলে জানান তিনি।