শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি যখন চরম টালমাটাল, সেই সময় আন্দোলকারীরা হয়ে উঠেছিল বেপরোয়া। তারা হইহই করে ঢুকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির প্যালেস এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে। সেই সময়কার ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। রান্নাঘর, ডাইনিং হল থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, এমনকী শোবার ঘরেও দাপিয়ে বেরিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলন কিছুটা থিতিয়ে যেতেই এবার হিসেব-নিকেশের পালা। আর তা করতে গিয়েই চোখ কপালে উঠেছে পুলিসের। এমনিতে তো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েইছে। কিন্তু আরও বড় ক্ষতি নজরে এল, যা কার্যত পূরণ করা কঠিন। দেখা যাচ্ছে, দুটি হাই সিকিউরিটি ওই ভবন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে হাজারেরও বেশি মহামূল্যবান অ্যান্টিক এবং ভিন্টেজ শিল্পসামগ্রী। পুলিস আপাতত এই নিখোঁজ রহস্যের কিনারা করতে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে।
তবে এ নিয়ে সংকটে পড়েছে পুলিস-প্রশাসন। কারণ, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবনে যে সব দুর্মূল্য জিনিস রয়েছে, তাদের কোনও তালিকা পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগের হাতে নেই। ফলে পুলিস এই হাজার সংখ্যা বললেও সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে।
এদিকে এই ধরনের ঘটনা যাতে ফের না ঘটে, তার জন্য শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে সতর্ক করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে আর এর পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য তিনি পুলিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের জমায়েতে পুলিস আক্রমণ চালিয়েছে, যাতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিস এবং প্রশাসন যে ভবিষ্যতে আন্দোলনের নামে সরকারি বাসভবন বা সরকারি ক্ষেত্রে এই ধরনের আক্রমণ ও সম্পত্তি নষ্ট বরদাস্ত করবে না, তা প্রশাসনের এই ধরনের পদক্ষেপেই পরিষ্কার।