এবার থেকে মাস্ক ছাড়াই বেরনো যাবে। শিথিল করা হচ্ছে করোনার বিধিনিষেধ। কেবল ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট থাকলেই পাওয়া যাবে ছাড়। দীর্ঘ ২ বছর ধরে করোনা থেকে রেহাই পেতে মানুষের নতুন পরিধান হয়েছে মাস্ক। আর সেই পরিধান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে না পরলে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এবার এই নয়া জিনিসটি থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ব্রিটেনবাসী।
বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশবাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করেছেন, তাঁদের দেশে ওমিক্রনের আতঙ্কের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তাই ডিসেম্বরে নতুন করে যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, ব্রিটেনবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হয়েছে। যা একপ্রকার যন্ত্রণাদায়ক। সেখান থেকে এবার মুক্তি পেতে চলেছেন ব্রিটেনবাসী। এছাড়াও চলতি সপ্তাহ থেকে ব্রিটেনবাসীকে পরতে হবে না মাস্ক। সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা বার বা রেস্তরাঁ এবং নাইট ক্লাবে যাওয়ার জন্য আর লাগবে না কোভিড-পাশ।
বরিস জনসন যখন ব্রিটেনবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন, সেদিন থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর বাধ্যতামূলক নয় বলে জানান। বাড়ির বাইরে বেরনোতেও থাকছে না আর কোনও নিষেধাজ্ঞা। এরূপ সিদ্ধান্তের পিছনে যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা হল, বুস্টার ডোজের কর্মসূচিও ইতিমধ্যে তাঁদের দেশে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৯০ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়ে গেছেন। এছাড়া ব্রিটেন করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায় পেরিয়ে গিয়েছে। তাই ব্রিটেন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারল বলে জানান ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মাস্ক পরার গুরুত্ব কতটা, তা দেশবাসীর উপরেই ছেড়ে দিল বরিস সরকার।