তালিবানি (Taliban) শাসকের নির্দেশ অমান্য করে মুখ না ঢেকে খবর পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছিল একাধিক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মহিলা সঞ্চালিকাকে। আফগানিস্তানের (Afghanistan) সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনন্দজাদা এই নির্দেশিকা জারি করেন। ফতোয়া জারির পর কয়েকটি সংবাদসংস্থার পাঠিকারাই এই নিয়ম মেনে চলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্দেশ ভাঙার ছবি উঠে এসেছে। সঞ্চালিকাদের দাবি, অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যা মানতে নারাজ তাঁরা।
এরপরই রবিবার ওই তালিব নেতা (Taliban Leader) জানিয়ে দেন, নির্দেশ মানতে বাধ্য সকলে। সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি ফতোয়া না মানা হয়, তার পরিণতি ভালো হবে না বলেও জানিয়েছেন তালিবান নেতা।
পাশাপাশি এদিন আরও এক নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটার বেশি বিয়ে করতে পারবেন না তালিবরা। অর্থাৎ এই নির্দেশ এখনও কেবলমাত্র নিজের সংগঠনের সদস্য এবং যোদ্ধাদের দিয়েছেন, আফগানি পুরুষদের জন্য নয়। উল্লেখ্য, তালিবানরা 'তালিবানি ইস্লামি আমিরশাহি' যে শরিয়তি মেনে চলে, তাতে একজন পুরুষ চারটে অবধি বিয়ে করতে পারেন। বহুবিবাহ এ দেশে সাধারণ বিষয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শীর্ষ ওই তালিব নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এক ফতোয়া জারি করে বলেন, আফগান মহিলাদের (Afghan Women) তাঁদের ঐতিহ্যবাহী চাদরি বোরখা (Burqua) পরা উচিত। কারণ এটা এখানকার মহিলাদের (Afghan Women) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিয়ম না মানা হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু তালিবানদের নির্দেশ মানতে নারাজ স্বাধীনচেতা আফগান মহিলারা। কাবুলের (Kabul) রাস্তায় প্রকাশ্যে হিজাব (Hijab) না পরে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তাঁরা।