চিজ নামটা শুনলেই মনটা কেমন যেন আনন্দে ভরে ওঠে। চিজ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস আমরা খেয়ে থাকি। এরমধ্যে পিত্জা, বার্গার এগুলি আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। অনেকে আবার শুধু চিজও খেতে ভালোবাসেন। চিজ ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উপাদান হওয়ায় এটির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। না, চিজ নিয়ে আর কোনও গুরুগম্ভীর কথা আপনাদের শোনাব না।কমবেশি সবাই জানেন চিজের ক্যারিশমা।
যে কারণে এই প্রতিবেদন তা হল, ইউক্রেন যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিখ্যাত নাক্সোজ চিজের উপর। ম্যাক এন চিজ হোক অথবা পিৎজা! ইটালিয়ান সহ বিভিন্ন ক্যুইজিনে শেফরা অনেকটাই নির্ভরশীল চিজের উপর। আর সেই চিজের রাজা গ্রিক নাক্সোজ চিজ। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই চিজের দাম আকাশছোঁয়া। আর এই চিজের চাহিদাও প্রচুর।কারণ এটি স্বাদে সেরা। তবে এবার সেই বিখ্যাত নাক্সোজ চিজই বাজারে অমিল । কারণ, পশুপালন করাটাই কঠিন হয়ে উঠেছে নাক্সোজ শহরের পশুপালকদের জন্য।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সম্প্রতি বিশ্বের একাধিক দেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক খরা। দোসর ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত। ফলে সারের উৎপাদন এবং জোগানও কমে যাওয়ায় পশুখাদ্য উৎপাদনে প্রচুর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। পশুপালকরা জানান, পশুদের পরিমাণমতো খেতে দিতে না পারায় তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন কম দুধ দেওয়া পশুদের জবাই করতে। যাতে বেশি দুধ দেওয়া পশুগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই দুধ কম উৎপাদন হওয়ায় চিজের উৎপাদন এবং রফতানিতেও ভাটা পড়েছে।
নাক্সোজ ইউনিয়ন অফ এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভের সভাপতি দিমিত্রিস কাপৌনিস জানালেন, চিজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় শপিংমলের তাকও খালি থাকছে। ইতিমধ্যেই খাদ্যের অভাবের জন্য ৩০০ টি গরু এবং ৩০ হাজার ছাগল-ভোড়াকে জবাই করা হয়েছে। ফলে কমছে নাক্সোজ চিজের উৎপাদন।
গ্রিসের নাক্সোজ দ্বীপের মূল রফতানিযোগ্য পণ্য হল চিজ। ৮০ শতাংশ গরুর দুধ এবং ২০ শতাংশ ছাগল এবং ভেড়ার দুধকে একসঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয় এই চিজ। এই চিজ আলাদা করে জিআই ট্যাগও পেয়েছে এর বিশেষত্ব এবং অনন্যতার বিচারে। কিন্তু এমন চলতে থাকলে চিজপ্রেমীরা তো পড়বেন সংকটে। পাশাপাশি নাক্সোজ দ্বীপ থেকেও পশুসম্পদ লুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মালিকরা।