একদিকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত, অন্যদিকে দফায় দফায় বিক্ষোভে অশান্ত। তারপরে আবার রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে পদত্যাগ করার পর সেখানে এখন অস্থায়ী কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমেসিংহে। এরকম একটা অবস্থায় শ্রীলঙ্কায় এই দ্বীপরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হল। এক বিশেষ সার্কুলারে একথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সোমবার থেকেই এটি কার্যকর হবে।
ওই গেজেট নোটিফিকেশনে পরিষ্কারই বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বার্থ এবং সুরক্ষার কথা ভেবেই। এমনিতেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের চরম সংকট চলছে। এই অবস্থায় যাতে এগুলির সরবরাহ ঠিক রাখা যায়, সেটাও এই জরুরি অবস্থা জারি করার অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ হল মঙ্গলবার। ভোটগ্রহণ হবে ২০ জুলাই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিরোধী দলনেতাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বতন রাষ্ট্রপতি এর আগে গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রথমে মালদ্বীপ, পরে সিঙ্গাপুরে কার্যত পালিয়ে যান। এদিকে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন চলে যায় বিক্ষোভকারীদের দখলে। সেখানে উত্তেজিত জনতা হাই সিকিউরিটি জোনকে জনতার দরবার বানিয়ে ফেলে। সব মিলিয়ে চরম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরকম একটা অবস্থায় জ্বালানির সংকটও চরমে পৌঁছয়। সম্প্রতি তার মোকাবিলায় ন্যাশনাল ফুয়েল পাস ব্যবস্থা চালু করে প্রশাসন।