পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুত্ সংকট। আর তার পরিণতি হল ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক। শুক্রবার আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর-পূর্বের জেলায় এই ঘটনা ঘটে। সেখানের একটি মসজিদে নমাজ শেষে ব্যাপক বিদ্যুত্ বিভ্রাট নিয়ে দুদলের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলাকালিনই আচমকা চলে গুলি। তাতে দুজনের মৃত্যু হয় এবং ১১ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একটি ৬ বছরের বাচ্চাও রয়েছে।
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সংকট চরমে ওঠায় সেখানকার টেলিকম অপারেটররা ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি বোর্ড (এনআইবিটি) টুইট করে জানায়, ‘দেশব্যাপী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের টেলিকম অপারেটররা। কারণ বিদ্যুতের এই বিভ্রাট তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় নানা সমস্যা ও বাধার সৃষ্টি করছে।’
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও দেশবাশীকে সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তান প্রয়োজনীয় পরিমাণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ পাচ্ছে না। তবে তা হাতে পেতে ইসলামাবাদের এই জোট সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের মাসিক জ্বালানি তেলের আমদানি জুলাই মাসে চার বছরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে বলে অনুমান। প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের চুক্তিতে অন্যান্য দেশ সম্মত না হওয়ায় পাকিস্তান বিদ্যুত সংকটের ক্রমবর্ধমান সম্মুখীন হচ্ছে।