ব্রিটেনে চলা রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পদত্যাগ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত কয়েকদিন ধরে মন্ত্রিসভার উচ্চপদস্থ একাধিক মন্ত্রী একের পর এক ইস্তফা দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে। এর ফলে বরিসের পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইতিমধ্যে জনসনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের ৪০ মন্ত্রী। তবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, নয়া প্রধানমন্ত্রী আসনে না বসা পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বরিসই। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের রাজনীতি চরম সংকটে।
যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে বর্ষীয়ান এক রাজনীতিককে বড়সড় পদে এনেছিলেন জনসন। এরপরই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। বরিসের দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তিনি কিছুই জানতেন না। কিন্তু সম্প্রতি এক সরকারি মুখপাত্রই ফাঁস করে দেন যে জনসন মিথ্যাচার করেছেন। আর এ নিয়ে শোরগোল উঠতেই প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে নারাজ ছিলেন জনসন। অবশেষে দলের অন্দরের চাপে রাজি হয়ে যান। আর কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে সূত্রের খবর।