Share this link via
Or copy link
কথায় বলে পুরুষদের দাড়ি গোঁফ থাকা পুরুষত্বের লক্ষণ। যদিও বাঙালি পুরুষদের দাড়ির চেয়ে গোঁফ রাখারই প্রচলন বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও আলাদা আলাদা রকমের মানুষ পাওয়া যায় যাঁরা অদ্ভুত দর্শন দাড়ি-গোঁফ (Beard) রাখেন। দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের দাড়ি গোঁফের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। রাজস্থানের মানুষদের যেমন দেখা যায় লম্বা লম্বা গোঁফের পাশাপাশি কানচাপা দাড়ি রাখতে, তেমনি আবার অনেক ভারতীয় মানুষকেই দেখা যায় চাপ দাড়ি রাখতে। তবে নিজের উচ্চতার চেয়ে দাড়ির উচ্চতা (World’s Longest Beard) বেশি এমন মানুষ কী দেখেছেন? বাস্তবে এমন কেশরাশির জন্য বিশ্বের দরবারে নজির গড়লেন ভারতীয় শিখ সারওয়ান সিং। যদিও বর্তমানে তিনি কানাডার (Canada) বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার কৃতিত্ব তাঁরই ছিল। নিজেই নিজের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আবারও জায়গা করে নিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় ২.৫৪ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে আট ফুট। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যা করে যত্ন করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়স থেকে দাড়ি রাখা শুরু করেছেন। এরপর থেকে কোনওদিন দাড়ি কাটেননি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল সবরকমভাবে যত্ন নেন দাড়ির।
তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জানিয়েছেন, দাড়ি ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। তাই সেটার উপর কোনওরকম কারুকার্য তাঁর পছন্দ নয়। যে জিনিস যেমন দিয়েছেন ঈশ্বর তেমনই রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার নজির গড়েন সারওয়ান। সেই সময় তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় আট ফুট। সারওয়ানের আগে এই নজির ছিল সুইডেনের বাসিন্দা বার্গার পেলসের। ২০১০ সালে সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় আরও বেড়ে আট ফুটের বেশি হয়েছিল।