হনুমানের লঙ্কাকাণ্ডের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু জাপানের কোরিয়ামা সিটিতে যা ঘটল, তা এরচেয়ে কম কিছু নয়।
২৯ জুনের ঘটনা। সময় তখন দুপুর ২ টো বেজে ১০ মিনিট। প্রচণ্ড গরমে প্রাণ অস্থির। আচমকাই ঝুপ করে চলে গেল বিদ্যুত্। এক-দুটি নয়, একসঙ্গে বিদ্যুত্ চলে গেল প্রায় ১০ হাজার বাড়িতে। শুরু হয়ে গেল হইচই। খবর গেল তোহকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির অফিসে। অফিসের কর্মীরা এসে তন্ন তন্ন করে খোঁজখবর শুরু করলেন। আর তারপরই উন্মোচন হল রহস্যের।
দেখা গেল, সাব স্টেশনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আস্ত একটি সাপ। এ মেশিন, সে মেশিনে ঘুরতে ঘুরতে হঠাত্ শর্ট সার্কিটের জেরে সাপটির গায়ে আগুন ধরে যায়। বেজে ওঠে স্মোক অ্যালার্ম। ছুটে আসে দমকলের ছটি ইঞ্জিন। বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা বুঝতে পারেন, শর্ট সার্কিটের জন্যই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গোটা বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থা শাট-ডাউন হয়ে গিয়েছে। যার ফল ভুগতে হয়েছে কয়েক হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের। তাঁরা এসে সাপটিকে নাকি জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতেও পেয়েছেন।
সেখানে শুধু আবাসিকরাই ছিলেন, এমন নয়। ছিল প্রচুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও। অনেকেই গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের অসুবিধার কথা ভেবে দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। অবশেষে বিদ্যুত্ ফিরে আসতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা।
কিন্তু তাই বলে একটা সাপ এভাবে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিল? তাহলে তো যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকেই এভাবে শাট ডাউন করে দেওয়া যায়। একজন তো বলেই ফেললেন, বজ্রপাত বা ওইজাতীয় ক্ষেত্রে বিদ্যুতে শাট ডাউন পরিচিত ঘটনা। তা বলে সাপ?