Share this link via
Or copy link
টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দে'র (Pallavi Dey Death) মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে একাধিক তথ্য উঠে আসছে পুলিসি তদন্তে। আর্থিক চাপের সঙ্গে জুড়েছিল লিভ-ইন (Live-in Realtionship) বন্ধুর পরকীয়া। এই দুয়ের যাঁতাকলে পড়ে অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী পল্লবী। তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, পল্লবীর চর্চিত প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক বিবাহিত। এমনকি সেই রেজিস্ট্রি বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে সই ছিল পল্লবীর। তারপরেই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন শুরু করেন সাগ্নিক। কিন্তু তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর পুরনো সম্পর্ক কি কোনওভাবে অভিনেত্রীর মনে প্রভাব ফেলছিল? এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলে।
যদিও পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, 'সাগ্নিকের সম্পর্ক ছিল পল্লবীরই দুই বান্ধবীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে একজন পল্লবীর অনুপস্থিতিতে গড়ফার ফ্ল্যাটে আসতেন।' সেটা মেনে নিতে না পেরেই কি চরম পথে হাঁটলেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন ঘুরছে স্টুডিওপাড়ার অন্দরে। এমনকি, মেয়ের গায়ে হাত তুলতেন সাগ্নিক। এই অভিযোগও করেছে পল্লবীর পরিবার। যদিও সাগ্নিক জেরায় জানিয়েছেন, তিনি পল্লবীর সঙ্গেই সম্পর্কে থাকতে চেয়েছিলেন। আগের বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আইনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন।
এদিকে, শুধু সাগ্নিকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ নয়, মেয়েকে আর্থিক অনটনের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে পল্লবীর পরিবার। তারা জানিয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার জয়েন্ট ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পল্লবী-সাগ্নিকের। পল্লবীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নমিনিও সাগ্নিক। সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নামে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কেনা হয় নিউটাউনে। দামি গাড়িও কেনেন সাগ্নিক। ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনায় বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী। তাহলে গাড়ি-বাড়ির বিপুল ঋণ শোধের একটা চাপ ছিল পল্লবীর উপর?
তাই রবিবার সেভাবে সক্রিয় না হলেও এবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ সাগ্নিকের বিরুদ্ধে দায়ের করতে ভাবনাচিন্তা করছে পল্লবীর পরিবার।