সাধারণ মানুষের কাছে যেন ধীরে ধীরে ঈশ্বর হয়ে উঠছেন তিনি। অনেকেই আবার ঈশ্বর জ্ঞানেই তাঁকে মনে-প্রাণে শরণ করেন ইদানীংকালে। কোথাও কেউ বিপদ-আপদের সম্মুখীন হলেই তিনি 'মসিহা' হয়ে পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি চলচ্চিত্রে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করলেও, আদতেই তিনি রিয়েল হিরো। বলি অভিনেতা সোনু সুদকে এখন সেভাবেই চেনেন।
তবে শুধু করোনা পরিস্থিতিতেই নয়। এরপরেও বহু ক্ষেত্রে তার মানবিকতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। মানুষের সেবা করতে কোনও সময়ই তিনি পিছপা হন না। তেমনই আরও এক ছোট্ট শিশুর সেবায় এবার নিজেকে নিয়োজিত করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিলেন একরত্তি শিশু কন্যার ছবি। যেখানে প্রথম ছবিতে সোনু সুদের সঙ্গে কুমারী, পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় একরত্তি। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার আর কুমারীর যাত্রা সফল হল।' একই সঙ্গে লিখেছেন, 'চারটে হাত আর চারটে পা নিয়ে জন্ম হয়েছিল চাউমুখীর। এখন সে বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি।'
কে এই চাউমুখী? কী বা হয়েছিল তার?
জানা গিয়েছে, বিহারের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা চাউমুখী। জন্ম থেকে তার ৪টে হাত ৪টে পা। এইভাবে তার বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ক্রমশ। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু দুঃস্থ পরিবারে এতো অর্থ যোগাবে কে! তাই প্রতিবন্ধকতাকে নিয়েই কাটছিল চাউমুখীর দিন। কিন্তু না সেখানেই চাউমুখীর ঈশ্বর হয়ে উঠলেন সোনু সুদ।
হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেন তিনি। শরীর থেকে কেটে বাদ দেওয়া হয় তার হাত আর পা। আপাতত ২টি হাত আর ২টি পা নিয়ে দিব্যি সুস্থ কুমারী। অন্যদের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যস্ত। সবাই বলছেন,'ভাগ্যিস সোনু সুদ ছিলেন'।