শৈশব-কৈশোর অভাবে কেটেছে মান্নতের (mannat banglow) বর্তমান অধিপতির। সে কথা রাখঢাক না করেই প্রকাশ্যে বলেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। অল্প বয়সে অভিভাবক হারিয়ে অথৈ জলেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। সে কথাও অজানা নয় কিং খানের অনুরাগীদের। কিন্তু ফিজ (School Fees) বাকি থাকায় স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। একথা অনেকের অজানা। আর সেই অভিজ্ঞতাও এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিয়েছিলেন বলিউডের বাদশা।
তিনি বলেছিলেন, 'একবার আমার স্কুলের বেতন দিতে পারেনি বাবা-মা। স্কুল হুমকি দিয়েছিল আমায় তাড়িয়ে দেবে। তোশকের তলায় একটু একটু করে জমানো পয়সা দিয়ে তখন আমার স্কুলের বেতন দিয়েছিল ওরা।' এমনকি পয়সার অভাবে তাঁর বাবার ইঞ্জেকশন আটকে গিয়েছিল, সেকথাও অকপটে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শাহরুখ।
তিনি জানান, বাবার চিকিৎসায় ২০টি দামি ইঞ্জেকশন দেওয়ার ছিল। কিন্তু তা কেনার মতো টাকা ছিল না হাতে। শেষমেশ প্রবাসী এক পিসি ৮টি ইঞ্জেকশনের খরচ দেন। সেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল বাবাকে। কিন্তু এখনও তাঁর আক্ষেপ, হয়তো সেই সময় ২০টি ইঞ্জেকশন পড়লে বেঁচে যেতেন বাবা।
তিনি যেমন বলিউডের কিং, তেমন রাজার হালে থাকার পাশাপাশি প্রজাবৎসল ভূমিকাতেও দেখা যায় তাঁকে। একাধিক সমাজসেবামূলক কর্মের সঙ্গে যুক্ত শাহরুখ খান। এ প্রসঙ্গে শাহরুখের স্বীকারোক্তি, 'রাজা কারও সাহায্য চায় না। উলটে সবটুকু দিয়ে অন্যকে সাহায্য করেন।' তিনি মনে করেন, এখনও তাঁর পা মাটিতে, শুধু চান তাঁর সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।