Share this link via
Or copy link
পঞ্জাবি গায়ক তথা রাজনীতিবিদ খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এই গ্যাংস্টার একদা সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। যোধপুরে গিয়ে ভাইজানকে খতমের হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স। এবার আবার হুমকি চিঠি সলমন এবং তাঁর বাবা সেলিম খানের নামে। বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের আশপাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই চিঠি। সেলিম খানের সঙ্গে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে সেই চিঠি উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিস।
মুম্বইয়ে এক সংবাদমাধ্যমের খবর, যে জায়গায় চিঠিটি উদ্ধার হয়েছে, রোজ প্রাতর্ভ্রমণের ফাঁকে সেখানেই বিশ্রাম নেন সেলিম। এদিকে, পঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসওয়ালাকে গত রবিবার গুলি করে হত্যা করা হয়। ভক্তমহল থেকে শুরু করে শিল্পীমহল, সকলেই এই ঘটনায় হতবাক। তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে নেমেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনায় গ্যাংস্টার বিষ্ণোই লরেন্স-ঘনিষ্ঠ গোল্ডি ব্রারের নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি সামনে এসেছে সিধুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। গায়কের শরীরে ১৯টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। গুলি করার ১৫ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান। গুলিবিদ্ধ ছিল তাঁর কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং মেরুদণ্ডে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, 'হেমোরেজিক শক'-এর কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচ জন চিকিৎসক যে ময়নাতদন্ত এবং ভিডিওগ্রাফি করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, মুসওয়ালার শরীরের ডান পাশে সবচেয়ে বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুরো শরীরের একটি এক্স-রেও করা হয়েছিল। মুসওয়ালার লাল টি-শার্ট এবং পায়জামার রক্তের দাগ এবং আঘাতের চিহ্নের পাশাপাশি একাধিক ছিদ্রও পাওয়া গিয়েছে।
কিছুদিন আগে সিধু হত্যাকাণ্ডে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ওরফে সতিন্দর সিংয়ের নাম উঠে এসেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে লেখা, "সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার দায় নিচ্ছি আমি এবং আমার ভাই গোল্ডি। আমরা আমাদের ভাই ভিকি মিদুখেরার খুনের বদলা নিয়েছি। সিধু আমাদের ভাইয়ের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল।” এই পোস্ট সামনে আসার পরেই তদন্তে গতি আসে। তদন্তে প্রথম এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, এই অভিযুক্তের নাম মনপ্রীত। তাকে উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।