সাংবাদিক নিগ্রহ-কাণ্ডে বম্বে হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন সলমন খান (Salman Khan)। সাংবাদিককে মারধর (Journalist Heckle) এবং ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে ৫ মে পর্যন্ত ভাইজানের বিরুদ্ধে সমন জারির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে নিম্ন আদালত (Bombay Court) সলমনের ব্যক্তিগত হাজিরায় ৯ মে পর্যন্ত অব্যহতি দিয়েছে।
তিন বছর আগে সলমন খান এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক অশোক পণ্ডিত। ২০১৯-এ মুম্বইয়ের রাস্তায় সাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন সলমন। সেই সময় অভিনেতার ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন অশোক পণ্ডিত। এতেই বিরক্ত হন ভাইজান। অনুমতি ছাড়া কেন ছবি তুলছেন? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সলমন। অভিযোগ, অভিনেতা নিজে এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এসে তাঁকে মারধর করেন। এমনকি, অশোকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
সলমনের আইনজীবী কোর্টে জানান, তাঁর মক্কেল অভিযোগকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে টুঁ শব্দও করেননি। এরপরেই অভিযোগকারীর আইনজীবীকে বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন সলমনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর মক্কেলের? কোনও সদুত্তর না পেয়েই ভাইজানকে স্বস্তি দেন বিচারক।
এদিকে, ১৯৯৮-র কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সলমন খানের আবেদন ট্রান্সফারের অনুমতি দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। সেই মামলা সংক্রান্ত সব আইনি কর্মকাণ্ড এবার মরু রাজ্যের হাইকোর্টেই হবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। এই বিরল হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইনে দণ্ডনীয়।