যৌনতা এবং নগ্নতা মানুষের আদিম প্রবৃত্তি। যদিও সময়ের সঙ্গে সংজ্ঞা বদলেছে এই দুই প্রবৃত্তির। একসময় সমাজের রক্তচক্ষুর জন্য নগ্নতা এবং যৌনতায় রাখঢাক থাকতো। কিন্তু যতই সময় গড়িয়েছে সেই আব্রু ক্রমেই সরতে শুরু করেছে। প্রায় এক দশক আগে পুরুষ গর্ভনিরোধকের বিজ্ঞাপনে মুখ হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রণভীর সিং। বরাবরই ব্যতিক্রমী এই অভিনেতা। সে চরিত্র চিত্রণ হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন; খবরের শিরোনামে এসেছেন দীপিকা-পতি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন রণভীর সিং। বার্ট রেনল্ডসকে শ্রদ্ধা জানাতে এক ম্যাগাজিনের হয়ে নগ্ন ফটোশুট করেছেন রণভীর সিং। যদিও সম্প্রতি মিলিন্দ সোমন সি বিচে নগ্ন হয়ে দৌড়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন।
শরীরে সুতোর কোনও অস্তিত্ব নেই। সেই অবস্থায় কখনও দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে, কখনও আবার গালিচায় শুয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন অভিনেতা। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হৈচৈ সামাজিক মাধ্যমে। কেউ অবশ্য কটূক্তি কিংবা ট্রোলিংয়ের পথে যায়নি। উল্টে নেট দুনিয়া বরং সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছে রণভীড় সিংকে। অভিনেতা বলছেন, নগ্নতা নিয়ে আমার কোনও ছুৎমার্গ নেই. আমার আত্মাও নগ্নও এবং শুদ্ধ। সেই মতো আমিও নগ্ন এবং শুদ্ধ। সমস্যা আপনাদের কোন চোখে এবং কীভাবে আমাকে দেখছেন। এভাবেই নিজের সাম্প্রতিক ফটোশ্যুট নিয়ে মুখ খুলেছেন রণভীর সিং।
কিন্তু অভিনেতার অবস্থানকে সমর্থনে নারাজ সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, নারী নগ্ন হলেই সৃষ্টি রসাতলে। আর পুরুষের নগ্নতার এত বাহবা কেন? রণভীরের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে এমন ভাবেই গর্জে উঠেছেন মিমি। সমাজব্যবস্থার লিঙ্গবৈষম্য প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে দিয়ে সাংসদের প্রশ্ন, এই বিভেদ আর কত দিন?
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, একদিকে নারী-পুরুষের সাম্য নিয়ে কথা, অন্য দিকে, নারী যদি স্বেচ্ছায় নগ্ন হয় তা হলে সেই কাজ নিন্দনীয়। এভাবে কোনওদিন নারী ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।