'#বয়কটরূপঙ্কর' এখন ট্রেন্ডিং ফেসবুকে। এমনকী টুইটারের মতো এলিট ক্লাস সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং। KK-কে নিয়ে রূপঙ্করের তির্যক মন্তব্য যে দর্শক-শ্রোতারা এক্কেবারেই পছন্দ করেননি, তা বেশ সোচ্চারের সঙ্গেই বুঝিয়ে দিয়েছে বঙ্গবাসী। বিতর্ক এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় যে, পুলিসি নিরাপত্তা দিতে হয়েছে রূপঙ্কর ও তাঁর পরিবারকে। খুনেরও হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন রূপঙ্কর-জায়া চৈতালি।
তবে কোনও কিছুতেই বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না। এর মাঝেই গত রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি পেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান করেছেন রূপঙ্কর। তবে সেখানে হাতে গোণা কয়েকজন শ্রোতার সামনেই পারফর্ম করতে হয়েছে তাঁকে। পেক্ষাগৃহে যাতে কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেই কারণে হলজুড়ে পুলিস মোতায়েন রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে, রূপঙ্কর-বিদ্বেষের জেরে রূপঙ্করের গাওয়া একটি কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার জিঙ্গলকে সরিয়ে নেওয়া হয় ওই কোম্পানির তরফে। আসলে রূপঙ্করকে কটাক্ষ করতে গিয়ে, মানুষজন ওই কেক প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কটাক্ষতে ভরিয়ে তুলছিলেন। এমনকী ওই কেক প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বয়কটেরও ডাক উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার জেরেই ওই সিদ্ধান্ত নেয় কেক প্রস্তুতকারী সংস্থা।
কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার পর এবার কেকে-মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা গায়ক রূপঙ্কর বাগচি সম্পর্কে নিজেদের মত প্রকাশ করল কলকাতার নামী রেস্তোরাঁ। রূপঙ্করের গাওয়া কোনও গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিল এই রেস্তোরাঁ। এমনকী যাদবপুরের ওই রেস্তোরাঁর বাইরে নোটিস টাঙানো হয়েছে রূপঙ্করের গান বাজানো নিয়ে। সেই নোটিসে লেখা হয়েছে, ''জনস্বার্থ এবং মানুষের বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে রূপঙ্কর বাগচির গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।''