এক বিয়েবাড়িতে গিয়ে অপমানের মুখে পড়তে হল বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে। যে গায়িকা সমগ্র গীতবিতান গেয়ে রেকর্ড করেছেন, যে গায়িকার স্ত্রোত্র পাঠ বাংলার প্রায় সব মন্দিরেই ধ্বনিত হয় মাইকের মাধ্যমে, যে গায়িকা প্রায় ৮ হাজারের উপর গান রেকর্ড করে ফেলেছেন, সেই স্বাগতালক্ষ্মীকে ভরা বিয়ের অনুষ্ঠানে শুনতে হল-'স্বাগতালক্ষ্মী, হু আর ইউ? বেরিয়ে যান এখান থেকে'। এই খবর সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এমনটা হল কেন? স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে এমনভাবে হেনস্থা করার কারণটাই বা ঠিক কী? স্বাগতালক্ষ্মী ফোনে ক্যালকাটা নিউজকে বলেন, ''আমার একজন পরিচিত আমায় তাঁর রিসেপশনের অনুষ্ঠানে ডেকেছিলেন। সেখানে আমি যে সময় পৌঁছই, ঠিক সেই সময়ই কনেপক্ষের লোকজনও আসেন। সে সময় আমায় দেখে অনেকেই ছবি তোলার জন্য ছুটে আসেন। এমনকী আমায় যিনি নিমন্ত্রণ করেছিলেন, আসলে যিনি পাত্র, তিনিও আমায় ডেকে তাঁর নববধূর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। এবং ছবি তোলেন। সেই সময়ই আচমকা চিৎকার শুরু হয়ে যায়। আমায় গালিগালাজ করা শুরু হয়।''
জানা গিয়েছে, পাত্রীর মা গায়িকাকে এমনভাবে প্রকাশ্যে হেনস্থা করলেনও তিনি কোনওভাবেই পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের নিষেধ করেছেন। তবে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা এমন ন্যক্কারজনক কাণ্ডের প্রতিবাদ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে পোস্ট করেন। আর তাতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে এই ঘটনায় বড্ড ব্যথিত স্বাগতালক্ষ্মী।
তিনি বলেন, ''নিমন্ত্রণ করে এমনভাবে হেনস্থা হতে হল কোনও কারণ ছাড়াই। সুবেশী, সুলতিতভাবে সজ্জিত একজন মানুষ এক্কেবার মুখের সামনে উঠে এসে অকথ্যভাবে গালিগালাজ করলেন। আমি তো তখন সম্পূর্ণভাবে আকাশ থেকে পড়ছি। বুঝেও উঠতে পারছি না যে, কী করবো! এমনটা হবে কল্পনাও করতে পারিনি। কোনওদিন এমন হয়, শুনিওনি। ভাবছিলাম যদি গায়ে হাত তোলে। তবে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা ছিল বলে বাঁচোয়া। আমায় নিয়ে এমনভাবে অপমানের পর ওরা আমাকে বিয়েবাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়।