KK-র গান, ভিন্ন ভাষার গায়ক নিয়ে এত উত্তেজনা নিয়ে ঠিক যেভাবে 'হু ইজ KK' বলে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভ পোষণ করেছিলেন রূপঙ্কর, ঠিক একইভাবে অপমানের আঁচ এসে গড়াল সাধারণ এক বিয়েবাড়িতে। এক বিয়েবাড়িতে অপমানের মুখে পড়তে হল বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে। যে গায়িকা সমগ্র গীতবিতান গেয়ে রেকর্ড করেছেন, যে গায়িকার স্ত্রোত্র পাঠ বাংলার প্রায় সব মন্দিরেই ধ্বনিত হয় মাইকের মাধ্যমে, যে গায়িকা প্রায় ৮ হাজারের উপর গান রেকর্ড করে ফেলেছেন, সেই স্বাগতালক্ষ্মীকে ভরা বিয়ের অনুষ্ঠানে শুনতে হল-'স্বাগতালক্ষ্মী, হু আর ইউ? বেরিয়ে যান এখান থেকে'
অভিযোগ, গত বুধবার নাগেরবাজারের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন স্বাগতালক্ষ্মী। আর সেখানে তিনি গিয়ে পৌঁছতেই উপস্থিত নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। স্বনামধন্য এমন একজন গায়িকাকে সামনে পেয়ে প্রায় সকলেই তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য, ছবি তোলার জন্য আবদার করতে থাকেন। আর সেই সময় পাত্রীর মা হঠাৎ করে চিৎকার জুড়ে দেন বলে জানিয়েছেন স্বাগতালক্ষ্মীর ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকী তিনি স্বাগতালক্ষ্মীর সামনে এসে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। এমনকী যিনি স্বাগতালক্ষ্মীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তিনিও এই ঘটনার বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ। তবে ওই মহিলা গায়িকাকে এমন কদর্য ভাষায় কেন অপমান করে বিয়েবাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ হেন অভিযোগ জানিয়ে স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের একজন শিষ্যা অশোক রেণু, ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ লিখে পোস্ট করেছেন। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। গায়িকা সম্প্রতি টানা ১৬৬ দিন একের পর এক গান ইউটিউবে আপলোড করে বিশ্বরেকর্ড করেছেন তিনি। গীতবিতানের সবকটি গান গেয়ে নজির তৈরি করেছেন আগেই। যে গায়িকার রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্বাগতালক্ষ্মীর 'দখল' প্রশ্নাতীত, তাঁকে অপমান করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যে মানুষটা কিছুদিন আগেই ক্যানসারের সঙ্গে যুঝে ফের সঙ্গীতে ডুবে দিয়েছেন, তাঁকে এত বড় ধাক্কা দেওয়াটা কি উচিত হল? প্রশ্ন উঠছে...