অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যুরহস্যের প্রধান অভিযুক্ত তথা পল্লবীর ‘লিভ-ইন’ সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ২৬ এপ্রিল অবধি পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ সাগ্নিককে গড়ফা থানা থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সাগ্নিককে পুলিস হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেন। তবে আদালতে জামিনের আবেদন করে সাগ্নিকের আইনজীবী জানান, এই ঘটনা প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। তবে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী অর্ঘ্য গোস্বামী জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে এখনই জামিন দেওয়া উচিত নয় সাগ্নিককে।
এদিন মৃত অভিনেত্রীর তরফে আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী আদালতে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। সেগুলি হল- সাগ্নিকের বয়ান অনুযায়ী পল্লবীর মৃত্যুর সময় সেই ফ্ল্যাটে তিনি আর পল্লবী ছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত বলছে, পল্লবীর দেহটি কেউ ঝুলে থাকতে দেখেনি। সাগ্নিকের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনিই পল্লবীর ঝুলন্ত দেহটিকে নীচে নামিয়ে আনেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে কোনও উচুঁ টুল বা টেবিল জাতীয় জিনিস দেখা যায়নি। তবে একটা সাড়ে চার ফুটের মেয়ে অত উঁচু থেকে কী করে ঝুলে আত্মঘাতী হলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, পল্লবীর পাঁচটি প্রোডাকশন হাউস থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা আসত। এবং সেই টাকা ট্রান্সফার হত সাগ্নিক ও তাঁর বাবার অ্যাকাউন্টে। এবং সেগুলি দিয়েই ওই দামী ফ্ল্যাট, গাড়ি, মোবাইল কেনা হয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছেন। আপাতত পল্লবীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত কোনদিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার